বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অবৈধ অর্থ বানিজ্যের প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিনকে সভাপতির সামনেই শারিরীকভাবে লান্থিতের করার প্রতিবাদে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টারদিকে বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কর্তৃক শারিরীকভাবে লান্থিত করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং ওই সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ সময় শিক্ষককেরা জানান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক। তাদের দ্বারা যদি শিক্ষকেরা লান্থিত হয় বিষয়টা দুঃখজনক। আমার চাই বিষয়টি সুষ্ঠতদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন। যেন কোন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি দ¦ারা কোন শিক্ষক নির্যাতনের শিকার না হয়।
প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন বলেন, যেহেতু এটা কম্পিউটার ল্যাবের কাজ। এখানে একজন দক্ষ জনবল দরকার। এখানে কোন অর্থের লেনদেন আমি মেনে নিব না। এতেই সদস্য রাশেদ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমার চোখে প্রচন্ড জোরে ঘুষি মারে। এতে আমি সজ্ঞাহীন অবস্থায় চেয়ারের উপর পড়ে যাই। পরে সহকর্মীরা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার(১৯ সেপ্টম্বর) দুপুরে পাবনার সাঁথিয়া কাশিনাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল বাতেন মিয়ার সামনেই ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রাশেদ প্রধান শিক্ষককে চোখে ঘুষি মেরে সঙ্গাহীন করে। এ সময় চোখে প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সদস্য রাশেদ মারধোরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের জায়গা ট্রাস্টের নামে থেকে বিদ্যালয়ের নামে করার জন্য একটা প্রতিবেদন চান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কাউকে না জানিয়ে একতরফাভাবে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন এ জন্য একটু কথাকাটাটি হয়ে মাত্র। বিষয়টি জানতে বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল বাতেন চৌধুরিকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাশিনাথপুর ফাঁড়ির আইসি এসআই তোজাম্মেল হোসেন জানান, এ ব্যাপারে বুধবার রাতেই থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ২০, ২০-০৯-২০২৩ইং। আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।